Social

শিক্ষা ব্যবস্থায় র‍্যাগিং

শিক্ষা ব্যবস্থায় র‍্যাগিং





র‍্যাগিং কি 

র‌্যাগিং শব্দের অর্থ নাকি পরিচয়পর্ব !! 


র‍্যাগিং মানে কি সত্যিই পরিচয়পর্ব !!!  

তাহলে র‍্যাগিং- এর বিরুদ্ধে এত প্রতিবাদ কেন?  


র‍্যাগিং মানে পরিচয়পর্ব হলেও এর বাস্তবিক অর্থে এই পরিচয়পর্বের নামে চলে শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন। 


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরনো শিক্ষার্থীদের সখ্য গড়ে তোলার জন্য যে পরিচিতি প্রথা, এ দেশে সেটাকে র‌্যাগিং বলে অভিহিত করা হয়।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‌্যাগিংয়ের নামে চলে  নিপীড়ন নির্যাতন। 





র‍্যাগিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ  VS রাজনীতি  



অনেক সময় র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট  র‍্যাগিংয়ের প্রতিকার চেয়ে প্রতিবাদ চাইলেও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।  

 

 দেশের কিছু সংখ্যক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চালু করলেও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এই নীতির আওতায় আসতে পারে নি।  

তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাগিংয়ে এক ধরনের রাজনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করে।  এখানে যেনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তাদের কাছে বন্দী হয়ে গেছে।  






শিক্ষাঙ্গনের কাজ কি!!  


শিক্ষাঙ্গনের মূল উদ্দেশ্য কি শিক্ষা গ্রহণ নাকি রাজনীতি!!  

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, একজন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরে স্বপ্ন দেখে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু বর্তমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‍্যাগিং সিস্টেম তাদের ভবিষ্যত জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।  

আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো যেন ছাত্র- রাজনীতির দাপটে চুপসে গেছে।  

"শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়,  আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্র-রাজনীতির দাপটে চুপসে গেছে "


এমতাবস্থায়,  আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত ছাত্র-রাজনীতির জন্য একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োগ করে তা যথাযথভাবে কার্যকর করা। 




বেরোবিতে র‍্যাগিংয়ের শিকার সিয়াম আহমেদ 


৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  ম্যানার শেখানোর নামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।  



ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়,   

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় বেরোবি ক্যাম্পাসে ম্যানার শেখানোর নামে জঘন্য র‍্যাগিংয়ের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ। 

তিনি রসায়ন ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।  



ক্যাম্পাস সূত্রে আরও জানা যায়,  

 বেরোবির রসায়ন ১০ম, ১১ তম ও ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ৫-৬ জন মিলে ওই একই ডিপার্টমেন্ট এর ১৩ তম বাচের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদকে  বেরোবি স্বাধীনতা স্মারকে এনে মানসিক নির্যাতন শুরু করে।  

 একপর্যায়ে তাকে প্রচুর মারধর করে।।ফলসরূপ কিছুক্ষণ পরে সে অজ্ঞান হয়ে যায় এবং তার কিছুক্ষণ পড়ে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ইমার্জেন্সি বিভাগে  ভর্তি করা হয়।





 ডক্টর সুত্রে জানা যায়,, 


রোগীর অবস্থা অনেক সিরিয়াস এবং তার বুকে আর মাথায় প্রচুর আঘাত এর চিহ্ন পাওয়া গেছে।

সে এখন সার্জারী বিভাগ এ ভর্তি আছে।





"ক্যাম্পাস থেকে ম্যানার শেখানোর নামে র‍্যাগিং থেকে মুক্তি চাই"

Post a Comment

0 Comments